রাঙামাটি প্রতিনিধি: রাঙামাটি ছাত্রলীগ সভাপতির বিরুদ্ধে গ্রেফতারি পরোয়ানা জারী করেছে আদালত।যুবলীগ নেতাকে হত্যা চেষ্টার অভিযোগে মামলা দায়ের করা হয়।রাঙামাটিতে যুবলীগ নেতা নাছিরকে পায়ের রগ কেটে হত্যা চেষ্টার অভিযোগের মামলায় জেলা ছাত্রলীগ সভাপতি মো.আব্দুল জব্বার সুজনকে গ্রেফতারের আদেশ দিয়েছেন আদালত। গত বৃহস্পতিবার রাঙামাটি সিনিয়র জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আসাদ উদ্দিন মো. আসিফের আদালত এ আদেশ দেন।
অভিযোগে বলা হয়, চলতি বছরের গত ৩০ জানুয়ারি রাঙামাটি কোর্ট বিল্ডিং এলাকায় ৮ নম্বর ওয়ার্ড যুবলীগের সাধারণ সম্পাদক নাছির উদ্দীনকে ডেকে নিয়ে যায় ছাত্রলীগ সভাপতি মো. আব্দুল জব্বার সুজনসহ তার সহযোগীরা। পরে তাকে মারধর করে পায়ের গোড়ালির রক কেটে হত্যার চেষ্টা করা হয়।খবর পেয়ে স্থানীয়রা তাকে উদ্ধার করে রাঙামাটি জেনারেল হাসপাতালে নিয়ে যান। পরে সেখান থেকে চট্টগ্রাম মেডিকেল হাসপাতালে চিকিৎসার জন্য পাঠানো হয়।এ চ্যাঞ্চলকর ঘটনায় যুবলীগ নেতা নাছিরের স্ত্রী ছালেহা আক্তার বাদী হয়ে ছাত্রলীগ সভাপতি মো. আব্দুল জব্বার সুজনসহ আটজনের নাম উল্লেখ করে রাঙামাটি কোতয়ালী থানায় মামলা দায়ের করেন।
আদালতের আদেশে সূত্রে জানা গেছে, এ মামলায় বাকি আসামিরা জামিনে মুক্ত হলেও আসামি মো. আব্দুল জব্বার সুজন আদালতে হাজির হয়নি। কারণ, পুলিশের তদন্ত কর্মকর্তা প্রতিবেদনে কৌশলে আসামি সুজনের নাম বাদ দিয়ে আদালতে প্রতিবেদন জমা দেন।একই সাথে ওই ঘটনার সাথে সুজন জড়িত নয় বলে দুটি ছবি দাখিল করেন। তদন্ত কর্মকর্তা ওই ছবি দিয়ে বুঝাতে চেয়েছেন ঘটনার দিন আসামি সুজন ঘটনাস্থলে নয় অন্য জায়গায় ছিলেন। কিন্তু এ ছবি দিয়ে ঘটনার সাথে জড়িত না থাকার কোনো প্রমাণ পাওয়া যায়নি।
তাই রেকর্ড পর্যালোচনায় দেখা যায়, তদন্ত কর্মকর্তা সুকৌশলে শুধুমাত্র অস্পষ্ট ছবির উপর ভিত্তি করে সকল আসামির মধ্যে শুধুমাত্র সুজনকে মামলা থেকে অব্যাহতি প্রার্থনা করেন। অথচ মামলার এজাহারে আসামি সুজনের অপরাধ সুষ্পষ্ট এবং সাক্ষী ১৬১ ধারার জবানবন্দীতে সকল আসামিদের সংশ্লিষ্টতা প্রমাণ করেছেন।তাই আসামি আব্দুল জব্বার সুজনকে মামলা থেকে অব্যাহতি প্রার্থনা নামঞ্জুর করেন আদালত। একই সাথে তার বিরুদ্ধে গ্রেফতারের আদেশ দেন। যার পরবর্তী শুনানি আগামী ২ নভেম্বর ২০২০।বিষয়টি নিশ্চিত করে রাঙামাটি কোতয়ালী থানার ইনচার্জ (ওসি) কবির হোসেন বলেন, আদালতের গ্রেফতারের আদেশের কাগজ আমাদের হাতে এসেছে। আসামিকে গ্রেফতারের চেষ্টা করা হচ্ছে।
রাঙামাটি ৮ নম্বর ওয়ার্ড যুবলীগের সাধারণ সম্পাদক নাছির উদ্দীন জানান, ছাত্রলীগ সভাপতি মো. আব্দুল জব্বার সুজনসহ তার সহযোগীরা তাকে কুপিয়ে জখম করে। পরে পায়ের রক কেটে হত্যার চেষ্ট করে। এ ঘটনার পর তার স্ত্রী ছালেহা বাদী হয়ে রাঙামাটি কোতয়ালী থানায় সুজনসহ ঘটনার সাথে জড়িতদের বিরুদ্ধে মামলা করেন। কিন্তু কৌশলে সুজনকে এজাহার থেকে বাদ দেওয়ার চেষ্টা করা হয় মামলার আইও। কিন্তু আদালত সুুজনকে মামলা থেকে অব্যাহতি প্রার্থনা না মঞ্জুর করে গ্রেফতারের আদেশ দিয়েছেন। অন্য আসামীরা জামিনে থাকলেও ২০ অক্টোবর আদালতে হাজিরা দিয়েছে বলে আদালত সুত্রে জানাগেছে।
রিপোর্ট:চৌধুরী হারুনুর রশীদ,রাঙামিটি।